নতুন করে আবার বৃদ্ধি পেল স্বর্ণের দাম। ভারতসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় এক মাসের তুলনায় ১০ গ্রাম সোনার বাট ২৪ ক্যারেট বেড়েছে ৪৫০০ টাকা প্রায়। যা অক্টোবরের প্রথম দিকে দাম ছিল ৫৭ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু অক্টোবরের ৩০ তারিখ সোমবারে তার দাম পৌছেছে ৬১ হাজার সাতশত টাকা। বিশ্ববাজারে ব্যবসায়ীক দের ধারণা সামনের দিকে আরো দাম বৃদ্ধি পাবে। আবার বলা হয়েছে সামনের দিনে আসছে বিয়ের মৌসুম এই সময় হঠাৎ সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে। ক্রেতা মধ্যে একাংশ বিপাকে পড়েছে তবে তারা আশা করছে বিক্রির চাহিদা কমে যাবে না। কোন কারণে বাড়ে? কোন অবস্থাতেই বা কমে?
সোনার ব্যবসায়ীদের আলোচনায় উঠে এসেছে All India Gem & Jewelery Domestic কাউন্সিলের (GJDC) ডিরেক্টর দীনেশ জৈন বলেন, “দাম বাড়ছে বটে। তবে এখনই তাতে বিক্রি কমার আশঙ্কা একেবারেই নেই। শুধু পাকা সোনা নয় স্বর্ণের গয়নার চাহিদাও বাড়বে।’’ গহনার চাহিদা কেন বাড়বে তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সংগঠনের আর এক ডিরেক্টর সমর দে বলেন, “নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে আউন্সে সোনা ২০৩০ ডলারে উঠবে বলে ধারণা রাখেন। সামনে রয়েছে বিয়ের মরসুম। তাই ধারণা করা হচ্ছে গহনার বিক্রি বাড়তে পারে। ২২ ক্যারেট সোনার দাম। আজকের সোনার দাম কত ২০২৩
মুদ্রাস্ফীতির সাথে স্বর্ণের দামের সমানুপাতিক সম্পর্কে বিদ্যমান। ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলে সোনার দাম বৃদ্ধি পায়। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেলে তার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়ে। দেশের স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হলো আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের রেট বৃদ্ধি।
অনেক সময় আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বাড়তি থাকে কিন্তু সোনার দাম হয় নিম্নমুখী। আবার সোনার দাম উর্ধ্বমুখী হলে দেখা যায় ডলারের দাম নিম্নমুখী। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া বা কমে যাবার তার উপর নির্ভর করে বিশ্বে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সোনার বাজারের মূল্য। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বেড়ে গেলে তখন বিনিয়োগকারীরা সোনার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যার ফলে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়।