বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করেছে। যা বাংলাদেশের রপ্তানি বানিজ্যে অনেক বড় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: সুজুকি জিক্সার বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৪
বাংলাদেশে তৈরি হোন্ডা মোটরসাইকেল মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল)। গত জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলকভাবে একটি মোটরসাইকেল বিমানে করে দেশটিতে পাঠানোর পর আজ মঙ্গলবার হোন্ডার এক্স ব্লেড মডেলের ১৪টি মোটরসাইকেল পাঠানো শুরু করল প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কোম্পানির কারখানা থেকে কনটেইনারবাহী চালান জাহাজে করে গুয়েতেমালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। সমুদ্রপথে যাবে এ পণ্য পৌছাবে গুয়েতেমালায়।
হোন্ডা বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক – রপ্তানি বানিজ্যে প্রবেশ করল হোন্ডা বাংলাদেশ
অনুষ্ঠানে বিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিগেরু মাতসুজাকি, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান এবং প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা হিরোইকি ইয়াসুনাগা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নতুন বাজাজ পালসার 150: শক্তিশালী পারফরম্যান্স আকর্ষণীয় ডিজাইন নিয়ে বাজারে হাজির হলো।
দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং আফ্রিকায় রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এর। এতে করে বাংলাদেশের রপ্তানি বানিজ্যে আরও এগিয়ে যাবে বলে আমরা ধারনা করছি।
বিএইচএল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রপ্তানির উদ্যোগ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের অবদানকে আরও সুদৃঢ় করবে। স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মোটরসাইকেল ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে বিশ্বমানের দুই চাকার বাজারে উন্নীত করতে বিএইচএলের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে এবং বিশ্বজুড়ে কিছু উন্নত অঞ্চলে উচ্চমানসম্পন্ন মোটরসাইকেল সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে আসছে ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল 2024
বিএইচএলের চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের এ অংশগ্রহণ শুধু আমাদের ব্র্যান্ডের বৈশ্বিক সুনাম উন্নত করে না, বরং আমাদের স্থানীয় কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোকে আরও দৃঢ় করে। আমাদের বৈশ্বিক দক্ষতা ও স্থানীয় বাজারের সম্ভাবনা বোঝার মাধ্যমে আমরা বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বাজারে প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবন চালিয়ে যাচ্ছি।” প্রতিবছর ৭০ হাজার মোটরসাইকেল উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এই কারখানার। গুয়াতেমালা দিয়ে রপ্তানি শুরু হলেও ভবিষ্যতে দেশের সংখ্যা বাড়বে।
বাংলাদেশের বর্তমানে রপ্তানি বানিজ্য ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি হোন্ডা মোটরসাইকেলের সাথে অন্যান্য মোটরসাইকেল কোম্পানি গুলো রপ্তানি বানিজ্যে আগ্রহ প্রকাশ করবে। ধন্যবাদ।