বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের দাম একেক সময় একেক রকম হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য ওঠানামা, তেলের দাম, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা সংকটের কারণে স্বর্ণের দাম পরিবর্তন হয়। দেশে এই দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে অনেকেই স্বর্ণ কিনে জমিয়ে রাখেন ভবিষ্যতে বিক্রি করে লাভ করার আশায়।
আজকের টাকার রেট। বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের রেট – ২ জুলাই ২০২৪
জানা গেছে, সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪১ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দাম বাড়লেও সোনার চাহিদা কমে না। তাই সোনা কিনতে গিয়ে টাকা যেন একটু হলেও কম গুনতে হয়, সে জন্য একটা উপায়ই বেছে নিচ্ছেন অনেকে, সেটি হলো, পুরোনো সোনার গয়না বদলে এবং তার সঙ্গে বাকি টাকা যোগ করে নতুন সোনার গয়না নেওয়া।
নিজের নামে কয়টি সিম কেনা যাবে?
এদিকে নতুন স্বর্ণের দাম ছাড়াও পুরোনো স্বর্ণের বিক্রির দামও নির্ধারণ করে দেয় সংগঠনটি। নিয়ম অনুযায়ী, পুরোনো স্বর্ণের গয়না বিক্রি করতে গেলে কেনা দামের ২০ শতাংশ কম পাওয়া যাবে। বদলাতে গেলেও একই নিয়ম।
দেশটির স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর তথ্যমতে, বর্তমানে পুরনো স্বর্ণ বিক্রির ক্ষেত্রে বর্তমান ওজন থেকে ১৩ শতাংশ ওজন বাদ দিয়ে দাম ধরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাজুসের সাবেক সভাপতি এবং বাংলা গোল্ড প্রাইভেট লিমিটেডের লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক খান বলেছেন, “ভ্যাটের ক্ষেত্রে আপনি যেটা পরিশোধ করেছেন, আনুমানিক স্বর্ণের দামের পাঁচ শতাংশ কাটা যাবে। কারণ সেটা আমরা নেইনি। এটা সরকার নিয়েছে।”
বাজুসের সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়াল অবশ্য জানিয়েছেন, “একেকজন একেকভাবে কর্তন করছে। বাজুস হওয়ার পর থেকে ১৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ কর্তনের নিয়ম মেনে আসছিল। এখন হয়ে গিয়েছে ১৩ শতাংশ ও নয় শতাংশ।”
অনেকের দাবি, আশি বা নব্বইয়ের দশকের স্বর্ণের দাম পাচ্ছেন না। এবিষয়ে শতরূপা জুয়েলার্সের বিক্রয়কর্মী দীপন কর্মকার বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের গয়নায় ক্যারেট হিসাব থাকে না। তাই এর দাম নতুন স্বর্ণের তুলনায় কম।