বর্তমান সময় সব থেকে জনপ্রিয় মূল্যবান সম্পদ হলো জমি। সবার কাছে প্রয়োজনীয় একটি সম্পদ হচ্ছে জমি। জমির মালিকানা কিভাবে বের করে অনেকেই তা জানেন না। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব জমির মালিকানা বের করার উপায়: খতিয়ান বের করার নিয়ম ও অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ফলে যে কেউ এখন অনলাইনে জমির খতিয়ান ও মালিকানা যাচাই করা কিংবা মোবাইলেই জমির খতিয়ান বের করে নিতে পারবে।
জমির পর্চা কি কি?
খতিয়ান বা পর্চা একই জিনিস। সরকারিভাবে জরিপ করা জমিজমার মালিকানা প্রমাণের জন্য সরকারি দলিল কে খতিয়ান বলে। এই খতিয়নে উল্লেখ থাকে মৌজার দাগ অনুসারে মালিকের নাম, মালিকের বাবার নাম, ঠিকানা ও তার স্থায়ী বিবরণ, মৌজার নম্বর, জমির বিবরণ ও সীমানার হিসাব ।এই খতিয়ান কে একেক অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয় যেমন পর্চা।
এস এ দাগ কি?
SA (এস,এ) খতিয়ান :
এস এ ক্ষতি আন্টি হলো পাকিস্তানি শাসনামলের জরিপকৃত খতিয়ান। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের ভাগ হলে আমরা তখন পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে গঠন হই। আর এই পাকিস্তানি শাসনামলে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করা হয়। তখন থেকে আবার ভূমির জরিপ করা প্রয়োজন পড়ে।
জমিদারী ও মধ্যস্বত্ব বিলোপ করে জমিদারগণকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ তালিকা প্রণয়ন এবং ভূমি মালিকগণকে/রায়তকে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনয়ন করার লক্ষ্যে সে সময় একটি সংক্ষিপ্ত জরিপ ও রেকর্ড সংশোধনী কার্যক্রম পরিচালিত হয় যা পরবর্তীতে এসএ খতিয়ান বলে পরিচিত পায় । ১৯৫৬ হতে ১৯৬২ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়।
কিভাবে দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই?
দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন
- প্রথমে এই লিংকে ভিজিট করুন
- তারপর আরএস খতিয়ান নাম্বার এ যেতে হবে।
- এবার বিভাগ বাছাই করুন।
- জেলা বাছাই করুন।
- উপজেলা বাছাই করুন।
- মৌজা বাছাই করুন অথবা সার্চ বক্সে লিখুন।
- তারপর দাগ নং অনুযায়ী সিলেক্ট করে দিন।
- বক্সে দাগ নম্বর টি লিখুন।
- ক্যাপচা পুরন করুনঃ
- তাহলে ওই জমির সমস্ত খতিয়ান নাম্বার গুলো পেয়ে যাবেন।